Web Development Vs Android Development: What should I learn?

Mahade Hasan
4 min readAug 3, 2021

--

বর্তমান ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সাথে সাথে এই সংশ্লিষ্ট চাকুরীও অনেক বাড়ছে। সেই সাথে ইন্টারনেটে ব্যবহৃত সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট এবং মোবাইলে ব্যবহৃত এপসগুলো বানানোর জন্য ডেভেলপারের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু প্রথমে কেউ এসব শিখতে গেলে বুঝে উঠতে পারে না তার কোনটা শিখা উচিত। তো সেই বিষয়ে ধারনা দেয়ার জন্য নিচের দুটি বিষয় নিয়েই আলোচনা করলাম।

ইন্টারনেটের দুনিয়ায় যা আমরা ব্যবহার করি সেগুলোকে প্রধানত ২ ভাগে ভাগ করা যায়।

১) ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

২) মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন

প্রথমে আমরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কথা বলি। ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন হলো কম্পিউটার ব্যবহার করে আমরা যা কিছুই দেখি তার সবই প্রায় ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বা ওয়েব সফটওয়্যার। আমরা যত রকম ওয়েবসাইট ব্রাউজ করি এগুলো সবই ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। যেমন: ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডিন, প্রথম-আলো, বিডি জবস, ইত্যাদি।

তাহলে Web Development কি? ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে কি কি শিখতে হয়?

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট:

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে ওয়েবসাইট ও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইন করা, ডেভেলপ করা, মডিফাই করা। আর যারা এই কাজগুলো করে তাদেরকে ওয়েব ডেভেলপার বলে। ওয়েব ডেভেলপার তিন ক্যাটাগরির হয়।

১. ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপার — যারা ওয়েবের শুধু UI(User Interface) ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন করে, অর্থাৎ ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটা দেখতে কেমন হবে সেটা ডিজাইন করে।
ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপার হতে হলে HTML, CSS, JavaScript, React এগুলো জানতে হয়।

২. ব্যাকএন্ড ডেভেলপার — যারা শুধু ওয়েবসাইটে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করে তাকে সচল একটি অ্যাপ্লিকেশনে পরিনত করে এবং ওয়েবসাইটের ডাটাবেজ ও সার্ভারের উপর কাজ করে তাদেরকে ব্যাকএন্ড ডেভেলপার বলে।
ব্যাকএন্ড ডেভেলপার হতে হলে কোনো একটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানতে হয়। যেমন: C++, C#, PHP, Python, Ruby ইত্যাদি। সাথে একটি ডাটাবেজ ল্যাংগুয়েজ যেমন MySql শিখতে হয়।

৩. ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার — যারা ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপ দুটোই করতে পারে তাদেরকে ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার বলে।

এছাড়াও এখন ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার জন্য CMS (Content Management System) টেকনোলজি আছে যার মাধ্যমে কোন প্রোগ্রামিং না জেনেও ওয়েবসাইট ডেভেলপ করা যায়। যেমন: WordPress, Joomla.

উল্লেখ্য যে, ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপমেন্টের চেয়ে ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্ট তুলনামূলক কঠিন ও কষ্টসাধ্য। ফ্রন্টএন্ড টেকনোলজির চেয়েও ব্যাকএন্ড টেকনোলজিগুলো শিখতেও সময় বেশি লাগে।

অ্যান্ড্রয়েট ডেভেলপমেন্ট:

আমাদের অ্যান্ড্রয়েট ফোনে যেসব এপস আমরা ব্যবহার করি সেগুলোকে অ্যান্ড্রয়েট অ্যাপস বলে।যেমন: টিকটক,লাইকি,হোয়াটস অ্যাপ ইত্যাদি। এই সকল এপস যারা তৈরি করে তাদেরকে Android Developer বলে। অ্যান্ড্রয়েট সিস্টেমটা Linux এর Kernel এর উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের চেয়ে এন্ড্রয়েট ডেভেলপমেন্ট ‍শিখাটা কিছুটা চ্যালেন্জিং। কারন, মোবাইলগুলো আলাদা আলাদা টেকনোলজি ব্যবহার করে। যেমন:

  • Android (Google)
  • iOS (Apple)
  • Bada (Samsung)
  • Blackberry OS (Blackberry)
  • Windows OS (Microsoft)
  • Symbian OS (Nokia)
  • Tizen (Samsung)

তবে সবচেয়ে বেশি চলে গুগলের ডেভেলপ করা Android ও এপলের ডেভেলপ করা iOS। তাই একজন মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপারকে দুটো প্লাটফর্মের টেকনোলজি শিখতে হয়। Android এর জন্য যেমন Java Programming language শিখতে হয় তেমনি iOS এর জন্য Swift শিখতে হয়। তবে এখন Flutter শিখেই সবগুলো প্লাটফর্মের জন্য অ্যাপস বানানো যায়।

ওয়েব ও অ্যান্ড্রয়েট ডেভেলপমেন্ট নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা:

অ্যান্ড্রয়েট application শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েট প্লাটফর্মের জন্য। আর ওয়েব application ইন্টারনেট চলে এমন সব ডিভাইসের জন্য। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের অন্তর্গত। তাই অ্যান্ড্রয়েট ডেভেলপমেন্ট এর কাজের পরিধি ছোট। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজের পরিধি বিশাল।

তবে সার বিশ্বজুড়ে মোবাইলের ব্যবহার বৃদ্ধির কারনে অ্যান্ড্রয়েট ডেভেলপমেন্টের কাজও বাড়ছে। সারা বিশ্বে এখন মোবইল কেন্দ্রিক অনেক বড় বড় বিজনেস গড়ে ওঠছে। যেমন: উবার, পাঠাও,ফুডপান্ডা ইত্যাদি। শুধুমাত্র মোবাইলের ১টি অ্যাপস দিয়েই হাজার হাজার কোটি টাকার বিসনেজ হচ্ছে সারা পৃথিবীতে। তাই এই সেক্টরের ডেভেলপারদের চাহিদাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে যদি কোনদিন অ্যান্ড্রয়েটের জায়গায় অন্য কোন টেকনোলজি চলে আসে অথবা মোবাইল ফোনের পরিবর্তে অন্য কোন ডিভাইস চলে আসে যেটা অ্যান্ড্রয়েট দিয়ে চলে না। তাহলে এই সেক্টর হুমকির মুখে পড়বে।

অপরদিকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট পুরো ইন্টারনেট জুড়েই বিস্তারিত বলে এর চাহিদা ছিলো এবং এখনো আছে। আর যতদিন ইন্টারনেট থাকবে ততদিন সফটওয়্যার এর চাহিদাও থাকবে।

ফোবর্স ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বে প্রায় ৮.৯ মিলিয়ন(৮০ লক্ষ ৯০ হাজার) মোবাইল অ্যাপস আছে। যার প্রায় ৪০% (চল্লিশ শতাংশ) চিনের দখলে। আর চিনের বাজারে চিনা ডেভেলপাররাই বেশি কাজ করে থাকে। আর সারা বিশ্বে মোবাইল ডেভেলপার আছে ১২ মিলিয়ন(১ কোটি ২০ লক্ষ) এর মত।

এপস নিয়ে বিস্তারিত আরো তথ্য জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

অপরদিকে সারাবিশ্বে প্রায় ২৩ মিলিয়ন (২ কোটি ৩০ লক্ষ) ওয়েব ডেভেলপার আছে। আর তার বিপরীতে ওয়েবসাইট রয়েছে প্রায় ৫৩৭ মিলিয়ন (প্রায় ৫৩ কোটি ৭০ লক্ষ)। এতে করেই বোঝা যায় এই সেক্টর কতটা বড় আর এর চাহিদাও কত ব্যাপক। অ্যাপ ডেভেলপারদের চাইতে ওয়েব ডেভেলপারদের চাহিদা এখনো অনেক বেশি। ওয়েব ডেভেলপারদের সংখ্যাও অ্যাপ ডেভেলপারদের চেয়ে বেশি।

সারা বিশ্বে ওয়েব ডেভেলপারদের স্যালারি বছরে আনুমানিক ৭৩ হাজার ডলার থেকে ১ লক্ষ ডলার। আর অ্যাপ ডেভেলপারদের স্যালারি বছরে ৯০ হাজার ডলার থেখে ১ লক্ষ ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে উন্নত বিশ্বের সাথে এই উপমহাদেশের বাৎসরিক স্যালারির পার্থক্য অনেক বেশি। তাই দেশিও প্রতিষ্ঠানের চেয়ে আমাদের দেশের ভালো ভালো ডেভেলপাররা বাহিরের দেশের প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করতে বেশি আগ্রহী।

আশা করি আমার এ আলোচনার মাধ্যমে একটি ধারনা দিতে পেরেছি যে, কোন পথে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান। তাই বুঝে শুনে নিজের শ্রম ও সময়কে কাজে লাগাবেন যেন পরে আফসোস করতে না হয়।

সবাইকে ধন্যবাদ।

--

--

Mahade Hasan
Mahade Hasan

Written by Mahade Hasan

বুড়া প্রোগ্রামার

Responses (1)